ব্লগিং করে আয় সম্পর্কে তৃতীয় টিউটরিয়ালে সকলকে স্বাগতম। আপনি যদি আগের টিউটোরিয়ালটি অনুসরণ করে থাকেন, তাহলে এতক্ষনে হয়তো আপনি ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলেছেন। এবার হচ্ছে ওয়েবসাইট কাস্টমাইজেশন এর পালা।অর্থাৎ ওয়েবসাইট এর ভিতরে কিছু কাজ রয়েছে, যে কাজগুলো না করলে একটি ওয়েবসাইট কখনো সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ দিলে পাওয়া যাবে না।
তাই আজকের এই টপিকে ওয়েবসাইট এর ভিতরের কিছু কাস্টমাইজেশন নিয়ে আলোচনা করব, যেগুলো একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করানোর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আজকের বিষয় গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আজকের এই টপিকে দেখানো বিষয়গুলো যদি আপনি ফলো না করেন তাহলে আপনি আপনার তৈরীকৃত ওয়েবসাইটে কোন প্রকার ভিজিটর আনতে পারবেন না। যার ফলে ওয়েবসাইট থেকে কোন প্রকার টাকাও আয় করতে পারবেন না। তাই নিচের বিষয়গুলো খুব মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন।
আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে সবার প্রথমে ভিডিওটি দিয়েছি। ভিডিওটি ফলো করুন। তবে ভিডিওতে দেখানো একটি জিনিস বর্তমানে ফলো করবেন না। যে বিষয়টি ফলো করবেন না সাইটম্যাপ অ্যাড করা। এই বিষয়টি নিয়ে ভিডিওটির নিচে আলোচনা করা হয়েছে।কারণ ভিডিওটি না দেখলে সেই বিষয়গুলো বুঝতে অনেকটা সমস্যা হবে।
উপরে দেওয়া User-agent লেখাটি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ গোলাপী রংয়ের লেখাটির উপর চাপ দিয়ে ধরে সর্বশেষ results=500 পর্যন্ত কপি করে নিন। এরপর "আপনার সাইটের লিংক" এর জায়গায় আপনার ওয়েবসাইটের সম্পূর্ণ লিংকটি বসিয়ে দিন। তারপর ব্লগারের সেটিংস অপশনে গিয়ে "Custom Robot.Txt" এরমধ্যে কপি করা টেক্সটটি পেস্ট করে সেভ করে দিন।
যে বিষয়টি বর্তমানে ফলো করবেন না
ভিডিওতে দেখানো সবগুলো বিষয়ই আপনি অনুসরণ করতে পারেন। তবে একদম নতুন ওয়েবসাইট থাকা অবস্থায় কিছু জিনিস অনুসরণ না করাটাই ভালো। কারন আপনারা হয়তো শুধুমাত্র একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে রেখেছেন, যেটিতে কোন প্রকার পোস্ট নেই। তাই নিচে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে বলব সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।
Sitemap এড করবেন না
আমি ধরে নিলাম, আপনার ব্লগে কোন প্রকার পোস্ট নেই। কারণ কিভাবে পোস্ট করতে হয় এখনও আপনারা জানেন না। তাই এখনই সাইটম্যাপ এড করবেন না। আপনার সাইটে যখন পাঁচ থেকে ছয়টি পোষ্ট সংখ্যা হবে তখন সাইটম্যাপ এড করবেন। এতে করে পরবর্তী পোস্টগুলো সহজে গুগলে ইন্ডেক্স হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
Sitemap এড করার ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা
সাইটম্যাপ এড করার ক্ষেত্রে ভিডিওতে দেখানো বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তবে আমার মতে, সাইটম্যাপ এড করার ক্ষেত্রে নিচের ছবিটি লক্ষ্য করে এড করাটাই সবচেয়ে বেটার।
অর্থাৎ, আপনার ওয়েবসাইট লিঙ্কটির পরে শুধুমাত্র sitemap.xml লিখে তারপর Submit বাটনটিতে ক্লিক করে দিন। তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে পোস্ট সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয়টি হওয়ার পর এটি এড করা সবচেয়ে ভালো।
আজকের টপিকের শেষ কথা
উপরের প্রত্যেকটি কাজ খুবই সতর্কতার সহিত করার চেষ্টা করবেন। কারণ এই কাজগুলো একটি ব্লগার ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এখানে কোন প্রকার ভুল করা যাবেনা।
যদি আজকের ব্লগিং করে আয় টিউটোরিয়াল- 03 এর সম্পূর্ণ বিষয়টির মধ্যে কোথাও বুঝতে কোন সমস্যা হয়ে থাকে, তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে জানাতে পারেন।
ব্যাকলিংক পাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ইরিলেভেন্ট লিংক শেয়ার করার চেষ্টা করবেন না । স্পামিং করা থেকে বিরত থাকুন । আপনার লিংকটি যুক্তিসঙ্গত না হলে সেটি অ্যাপ্রুভ করা হবে না ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ব্যাকলিংক পাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ইরিলেভেন্ট লিংক শেয়ার করার চেষ্টা করবেন না । স্পামিং করা থেকে বিরত থাকুন । আপনার লিংকটি যুক্তিসঙ্গত না হলে সেটি অ্যাপ্রুভ করা হবে না ।